পোস্টগুলি

মে, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিউলী

ছবি
অনেকদিন বাদে অমলকান্তি ছেলেটার কথা মনে পড়লো। আচ্ছা ঐ প্রসঙ্গ নাহয় থাক। আম্মুর কথা বলি। ব্যাপারটা আমার নিজের কাছে চমৎকার লাগছে, আম্মুকে নিয়ে কথা বলতে গেলে সেখানে অবধারিতভবেই রবিবাবু চলে আসে। এসে গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকে, মাঝেমধ্যে তার দাঁড়িগোঁফের আড়ালে মুচকি হাসিও দেখা যায়। আমি তো আধাপাগল, আর আম্মু ছিল সিকিপাগল। এই অল্প একটু। রংপুরে যখন মেডিকেল কলেজে পড়তো, পড়তে পড়তে হতাশ হয়ে আম্মু কাঁদতে কাঁদতে বাসায় চলে যেত। গিয়ে নানাভাইকে বলতো, আব্বা আমাকে দিয়ে আর পড়া হবে না। নানাভাইয়ের অনেকটা রবীন্দ্রনাথের মত চেহারা, সে হাসি আটকানোর চেষ্টা করতে করতে নির্বিকার মুখে বলতো, আচ্ছা সমস্যা নাই। আম্মু দুইদিন বাসায় বসে থাকতো, এরপর আবার কাঁদতে কাঁদতে মেডিকেলে ফিরে যেত, গিয়ে খালামণিদের সাথে (মানে, আম্মুর বান্ধবীদের সাথে) ঝগড়া করত, আমি বাসায় গেলাম আর তোরা সব পড়া পড়ে ফেললি!! নানাভাই ছিল জেলা স্কুলের শিক্ষক। হয়তো এই কারণেই, আম্মুর অসম্ভব চমৎকার একটা অভ্যাস ছিল— দিনরাত বই পড়া। মানিক-শরৎ থেকে শুরু করে আরো অনেকের বই, সবাইকে আমি চিনিও না। নানাভাই কিনে দিতো, আম্মু খালি পড়তো। একসময় বেচারা যখন বড় হল, তখন