পোস্টগুলি

জুন, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এলোকথন (আষাঢ়া ২৫:১)

ছবি
আমি জানি, এইসব এলোকথন একদিন ছাই হয়ে উড়ে যাবে, আর সেই ছাই থেকে জন্মাবে আরো এক রাশ ছাই। ছাইয়ের ধুলা, আমার প্রতিটা দীর্ঘনিশ্বাসের ধুলা, চোখের অজান্তে ভেতরে ঢুকে যাওয়া ধুলা—সকল ধুলা উড়ে বেড়াবে ধুলাময় এই শহরের আকাশে। দেহহীন মাথাগুলো গোলটেবিলের দশপাশে জড় হয়ে ভাবতে বসবে এ থেকে মুক্তি কোথায়, অন্যদিকে মাথাহীন দেহগুলো ধুলারে মেরে মেরে কাদা করে দিতে থাকবে, প্যাঁচপেঁচে সেই কাদায় ডুবে দেহরা চিৎকার করবে, প্যাঁচপেঁচে সেই কাদায় না-ডুবে মাথারা চিৎকার করবে, ফলে নিশ্চিতভাবেই তারা কাদা-সমস্যায় আক্রান্ত হবে।  কেননা এইসব এলোকথন একদিন ছাই হয়ে উড়ে যাবে, আর কে না জানে, ছাই থেকে কেবল ফিনিক্সই জন্মায় না, কখনো জন্মায় কেবল আরেক রাশ ছাই।  তখন সেক্রেটারিয়েটে কার্পেট বিছানো অফিসে বসে দেহহীন মাথার মনে পড়বে, বস্তুত ছাই থেকে ফিনিক্স জন্মায় না, ফিনিক্সই খানিকক্ষণের জন্যে ছাই হয়ে যায়। এবং ক্রমান্বয়ে সে মাথা তুলে উঁকি দেয়, পাখা তুলে ঝাপটা দেয়, একসময় উড়ে যায়, পেছনে পড়ে থাকে তার ছাইটুকু।  সেক্রেটারিয়েটের সুগন্ধ-কফিতে চুমুকের পর চুমুক দিয়ে দেহহীন মাথা হিসাব মিলাতে থাকবে, কিন্তু ধুলোময় শহরে উজ্জ্বল ডানা মেলে উড়তে

ভাষা এবং বোধ

ছবি
বোধ শব্দটা ব্যাখ্যা করিতে গিয়া আমরা সচরাচর জীবনবাবুকেই স্মরণ করিয়া থাকি। তিনি প্রসঙ্গটা তুলিয়াছিলেন এইভাবে—  আলো-অন্ধকারে যাই—মাথার ভিতরে  স্বপ্ন নয়,—কোন্‌ এক বোধ কাজ করে!  স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়—ভালোবাসা নয়,  হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়!  অর্থাৎ প্রায়শই আমরা কিছু অনুভূতির দ্বারা তাড়িত হই—যাহাদিগকে আমরা আমাদের প্রচলিত ধারণা (স্বপ্ন, শান্তি, হয়তো ভালোবাসা) দিয়া সংজ্ঞায়িত করিতে পারি না। সেক্ষেত্রে আমরা বোধ শব্দটার আশ্রয় লই। অদ্য সন্ধ্যায় আমার অভ্যন্তরে এক ধরনের বোধ জন্ম নিয়াছে—এই কথাটার অর্থ হইল, অদ্য সন্ধ্যায় এমন কোনো অনুভূতি আমাকে তাড়িত করিয়াছে—যাহার সহিত আমার পূর্বপরিচয় ছিল না, কিংবা থাকিলেও উহাকে আমি ভাষার দ্বারা ব্যাখ্যা করিতে পারিতেছি না।  ইহা বোধের খুব গুরুত্বপূর্ণ একখানা বৈশিষ্ট্য—সচরাচর বোধের এই অনুভূতিগুলো অপার্থিব হইয়া থাকে, এবং আমরা ইহাকে সরাসরি ভাষার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করিতে পারি না।  উল্লেখ্য, অকারণ-দুঃখ, যাহাকে ইংরেজিতে ডাকা হয় melancholia —তাহার সহিত ইহার স্পষ্ট পার্থক্য রইয়াছে। সব মেলানকোলিয়াই বোধের জন্ম দেয় না, এবং প্রায়শই বোধের পেছনে যেই কারণ কার্যকর