পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইমপ্রেশন: স্বপ্ন (শ্রবণা ২৫:১)

ছবি
এবং তার মনে হয়, সে যেন স্বপ্নের মাঝে সন্ধ্যা দ্যাখে। বাসার বারান্দায় দাঁড়ায়ে সে ঘন নীল সন্ধ্যা নেমে আসতে দ্যাখে, বিষণ্ন সেই সন্ধ্যায় টুপুরটাপুর বৃষ্টি নামতেও দ্যাখে। হয়তো পাশের বাসার জানালা দিয়ে আসা হলুদ আলো সেই নীল সন্ধ্যার বিপরীতে তার মনে এক ধরনের চিত্রময়তার জন্ম দেয়, এবং তার মনে হয়, যেন পাশের বাসায় কেউ একজন মরে গেছে।  এবং মৃত মানুষটার পরিচয়ও সে তৎক্ষণাৎ জানতে পারে। ফলে তার ভেতরে এক গভীর হাহাকার জন্ম নেয়, কান্নায় রীতিমত কাঁপতে কাঁপতে সে জেগে ওঠে।  অথবা এর সবই হয়তো মিথ্যা—বস্তুত সে কখনই জেগে ওঠে নাই—কেননা কান্নার ভেতরে জাগরণটাও হয়তো স্বপ্নের অংশ। সুতরাং সে স্বপ্নের গভীর থেকে গভীরে ডুবতে শুরু করে, এবং সে বুঝতে পারে, এই নীল সন্ধ্যায় পাশের বাসার হলুদ আলোর ভেতরে কেউ মরে গেছে, এবং সেখানে যেতে চাইলে এই বৃষ্টির মাঝে বাসার পিচ্ছিল দেয়াল বেয়ে উঠতে হবে।  অদ্ভুত—জেগে ওঠার পর সে ভাবে—সিঁড়ি-সিঁড়ি বাসায় কেন তারে দেয়াল বেয়ে উঠতে হবে?  কখনো ধুলাময় গ্রিল ধরে ঝুলে, কখনো শ্যাওলাময় সানশেডে পা হড়কাতে-হড়কাতে, কালিঝুলমাখা নব্বই দশকের সরকারি কলোনির নোনা দেয়াল বেয়ে ওঠার কাজটা বাস্তবে যেমন অস

কাকচক্ষু বুড়িগঙ্গা

ছবি
আমার মাঝেমধ্যে সমুদ্রে ডুবে যেতে ইচ্ছে করে।  আমি বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাই। অন্ধকার ঘরে বসে, রৌদ্রোজ্জ্বল রাজপথে দাঁড়িয়ে, দুঃখতম দুঃখের ভেতরে আমি প্রবল বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাই।  এবং আমার ইচ্ছে করে সমুদ্রে ডুবে যেতে। সমুদ্রের গভীর, সুস্বাদু অন্ধকারে এক ঘাস হয়ে জন্মাতে।  আমি রক্তের কথা শুনি। আমি রক্ত দেখি। একসময় আমি অন্ধ হয়ে যাই, পুরো পৃথিবীর গায়ে লেগে থাকা ছোপ ছোপ রক্ত আমাকে অন্ধ করে দেয়, আমি চিৎকার করে চোখ থেকে রক্ত মোছার চেষ্টা করি।  আমি গাড়লদের রাস্তার ড্রেনের পাশে বসে মাথার খুলিটা খুলে ফেলতে দেখি। ড্রেন থেকে আবর্জনা তুলে তুলে মাথায় ভরতে দেখি। আমি দেখি তাদের হা হা করে মানুষের দিকে তেড়ে যাইতে, মানুষের বাচ্চার দিকে তেড়ে যাইতে। আমি দেখি তাদের মানুষ চাবায়ে খায়ে ফেলতে, আমি শুনি তাদের—  না, এরপর আমি আর শুনতেও পারি না, কেননা আমার মনে হয় আমার সারা গায়ে কালি লেগে গেসে।  স্কুলব্যাগ ঘাড়ে একটা পিচ্চিকে দেখলে আমার অথৈয়ের কথা মনে পড়ে, কিংবা কে জানে, হয়তো ফারহার কথাই মনে হয়, কিংবা হতে পারে সেটা রাহাত, হয়তো সৌমিক। ফলে বছরের একেকটা সময় পত্রিকা খুলে আমি আতঙ্কে অধীর হয়ে যাই, ঘরে-ব