পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আলপিন

বাবা-মা শুধু এটা বোঝে না যে, ভালোবাসা হচ্ছে একটা লাল বেলুনের মত। বেশি দিলে পটাশ করে ফেটে যায়। তো, তারা করে কী— তাদের বাচ্চাকে ইচ্ছামত ভালোবাসা দিতে থাকে, আর বেলুনটা ফুলতে থাকে, এবং অবধারিতভাবেই দুম! আমার এখনো কষ্ট হয়, যখন সারা বাংলাদেশে ফার্স্ট হওয়া মেয়েটা IJSO যেতে পারে না। যখন টিএসটি দিয়ে আসা মেয়েটা আফসোস করে— বাসা থেকে সাপোর্ট পেলে সে আইএমও টিমে থাকতো। যখন সদ্য ক্লাস ফাইভে ওঠা ছেলেটা বলে, ডিসেম্বরে পরীক্ষা দেখে সে গণিত অলিম্পিয়াড ছেড়ে দিচ্ছে। দোহাই লাগে, আপনারা বেলুনে বাতাস একটু কম ঢোকান, আমার অসম্ভব কষ্ট হয়।

এলোকথন (অশ্বিনী ৩)

নাথিং এলস ম্যাটার্স। নাথিং এলস ম্যাটার্স। খালি ঐ একটা জিনিসই, মানুষজন যেই জিনিসটাকে আবেগ বলে ডাকে, ঐ একটা জিনিসই ম্যাটার করে।  মৃত্যুর ঘ্রাণ, শিউলি ফুলের ঘ্রাণ, সোডিয়াম আলোর ঘ্রাণ —  সবকিছু মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। দাদু বারবার করে একটা কথাই বলতেসে। জন লেনন যেমন বারবার করে, অক্লান্ত গলায় বারবার করে বলতেসিল, nothing's gonna change my world, nothing's gonna change my world, সেরকম দাদুও একই কথা বারবার করে বলে যাচ্ছে, যেই মানুষটা জীবনে কখনো পাপ করে নাই, কাউকে একটা ধমকও দেয় নাই, সেই মানুষটাকে কেন এ্যামনে কষ্ট পাওয়া লাগবে। আমরা মাথা নিচু করে বসে থাকি, আমরা জানি না কী বলব। আমি জানি না কী বলব। ধানমণ্ডি একের রাস্তাটা বেশ চমৎকার ফাঁকা থাকে। একা একা হাঁটতেসিলাম। হঠাৎ শিউলি ফুলের ঘ্রাণে পাগল হয়ে গেলাম। রাস্তার সেই জায়গায় পুরোপুরি শিউলি ফুল আর সোডিয়াম আলোর রাজত্ব। শিউলির ঘ্রাণে কী থাকে আমি জানি না, যেটাই থাকুক —  সেটা পুরো সাইকিডেলিক একটা অনুভূতি এনে দেয়। আমি গিলমোরকে মিস করি। ব্যারেটের জন্য লেখা গানটা মিস করি। অদ্ভুত সুন্দর ইনট্রোটা মিস করি। আর আমরা সবাই মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা ক

এলোকথন (অশ্বিনী ২)

And it was all yellow. আমার চশমার পাওয়ার ভয়াবহ। আট সাড়ে আট বোধহয়। একটা সময় এই নিয়ে যথেষ্ট মনটন খারাপ হত। But.…now I see the funny side. বেশ কয়েকদিন আগে, বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম। কার কাছ থেকে যেন কয়েকটা কাঠগোলাপ পেয়েছি, সেগুলো হাতে নিয়ে। শহীদ মিনারের সামনের রাস্তাটা যখন পার হচ্ছি, রাস্তার মাঝখানে এসে বুঝতে পারলাম, চশমা ভিজে পুরো ঝাপসা হয়ে গেছে, এটা এখন মোছা লাগবে। চশমা খুললাম, এবং সাথে সাথেই সেই অবিশ্বাস্য ব্যাপারটা বের করে ফেললাম— এই বিশাল রাস্তায় আমি একাই দাঁড়িয়ে আছি! মানে, উপরে ঝমঝম করে বৃষ্টি ঝরছে, আর নিচে আমি তিন-চারটা কাঠগোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে। একা। কিংকর্তব্যবিমূঢ়ের মত। ক্লাস এইটের একটা ছেলে ভালোবাসার প্রস্তাব পেলে যেমন বোকার মত তাকিয়ে থাকে, সেরকম অদ্ভুত দৃষ্টিতে। বহুদিন, বহুদিন কারো মুখে একটা কথা শোনা হয় নি। শেষ পর্যন্ত আমাকে একজন গাঢ় আকাশটা দেখতে বলেছিল, বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে থাকা গাঢ় ছাই রঙের আকাশ।