পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঢাকার মানভাষা, ঢাকার ভাষা এবং ঢাকার অপমানভাষা

ছবি
এক.  তনু আপু এক সকালে দারুণ উৎসাহ নিয়ে আমাকে ঝাড়ি দিচ্ছিলেন।  আমি তখন কচি নধর শিশু, মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। কলেজ-জীবনে চোখে ভারী চশমা এঁটে কেবল কাগজপত্রই ঘেঁটে গিয়েছিলাম, সুতরাং আমার সত্যিকারের পৃথিবী দেখার শুরুটা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে। বেশ কাদা-কাদা একটা মাটির তাল ছিলাম, মানুষ যা বলতো সব কেবল কানভরে না, প্রাণভরেও গ্রহণ করতাম!  তো, সেই সকালে তনু আপু বলছিলেন, আমি যেন ‘করসি-গেসি’-জাতীয় অপ্রমিত-ভাষায় না লিখি—কেননা অরিত্রদের মত ছোট মানুষেরা আমাদের দেখেই ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে, এবং ওদের সামনে একটা সুন্দর আদর্শ দাঁড় করানো উচিত।  আদর্শ দাঁড় করানোর ব্যাপারটা আপু এত সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, পরবর্তীতে আমার বহু মানুষকে কথাটা বলতে হয়েছে।  কিন্তু, আদর্শ আসলে কী?  ছোট পরিসরে, কেবল ভাষার আদর্শের কথাই যদি ভাবি, মানভাষায় না লিখলেই কি বাংলা অশুদ্ধ হয়ে যায়?  দুই.  আমার তা মনে হয় না।  বাংলা ভাষার প্রমিত রূপটা আমরা পাইসি তুলনামূলকভাবে দেরিতে—ব্রিটিশ আমলে। কলকাতা বাংলার রাজধানী হবার পর সবাই যখন সেখানে জড় হতে শুরু করলো—তখন সবার বোঝার মত একটা প্রমিতভাষা (বা মান

এলোকথন (আষাঢ়া ২৫:২)

ছবি
শেষবিকেলে, সন্ধ্যে নামার আগে আগে রাস্তায় হাঁটছিলাম। এক চাচাকে বাসে তুলে দিয়ে ঘরমুখো হতেই আবিষ্কার করলাম, বিকেলটা অসম্ভব সুন্দর। এই বাতাসে যতখানি জল ধরার কথা তার চাইতে ইকটুউ বেশি আছে, সুতরাং এদিক-ওদিক জলের কণা হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে এর-ওর গায়ে পড়ছে। মানুষজন এতে বিরক্ত হচ্ছে না, বরং বেশ আরামই পাচ্ছে মনে হয়।  বিকেলে স্নান করে বেরিয়েছিলাম, হয়তো একারণেই পবিত্র একটা অনুভূতি হচ্ছিল। বাসার ঢিলেঢালা জামা পড়ে বেরিয়ে পড়ায় ফুরফুরে একটা ভাব কাজ করছিল। আপনমনেই এলাকার রাস্তা ধরে হাঁটতে শুরু করলাম। চমৎকার কিছু ফাঁকা রাস্তা আছে আমাদের এদিকে—খেয়াল করিনি আগে। কী মিষ্টি গন্ধ তার ফুটপাথে, মধ্যিখানে, প্রতিটা মোড়ে!  আমি বোধহয় পাগল—কেননা আমার রাস্তা ভালো লাগে। রাস্তার এক কোণে চায়ের দোকানে বসে থাকা প্রৌঢ় লোকটাকে দেখে আমার মনে বিচিত্র কিছু বোধ কাজ করে। কোলাহলপূর্ণ রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ নিজেকে জনশূন্য অন্য কোনো রাস্তায় আবিষ্কার করে আমি বিস্মিত হই। কখনো দু হাত পেছনে জড় করে, কখনো এক হাতে বই ধরে, কখনো অন্য হাতে হাত ধরে হাঁটতে গিয়ে আমার নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান মনে হয়।  ফলে এইসব মুহূর্তের ঝোড়ো হাওয়ায় একের প