পোস্টগুলি

মে, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এলোকথন (জ্যেষ্ঠা ২৬:৩)

ছবি
“A human being is essentially a spirit-eye. Whatever you really see, you are that.” তাই যদি হয়, এবং যদি আমি চোখে কেবল অন্ধকারই দেখি— তাহলে আমি কী? আমার মাঝেমধ্যে মনে হয়—একেকটা কথা আমার দিকে আঙুল তুলে কী নির্মম অট্টহাস্য করে! ইউ আর দ্যাট, ইউ আর দ্যাট। একটা ইটালিক ধাঁচে লেখা শব্দ এভাবে আঙুল তাক করে থাকতে পারে? এতখানি নির্দয়ভাবে একটা মানুষকে বিদ্ধ করতে পারে? এইসব মুহূর্তে আমার কানে বৃষ্টির শব্দ আসে। এটা কি একটা রোগ? আমার কেবল দুটা জিনিস মনে হতে থাকে। এক, আমি বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাচ্ছি। এবং দুই, আমি একটা সমুদ্রে আছি। লিখেছিলাম, কোথায় কোথায় যেন। বহুবার। আমি মরে যাওয়ার পর কাগজপত্তর ঘাঁটতে গেলে ওসব বের হবার কথা। এই পাগলডা—হ্যায় গভীর আন্ধারে ডুইবা গ্যালে বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাইতো, আর হালায় ভাবতো হ্যায় সমুদ্দুরে ভাইসা আছে। একডা নৌকায় কইরা ভাসতেসে। হেই নৌকার পাশ দিয়া পড়তেসে গা বৃষ্টি। ইউ আর দ্যাট। আমার বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে। কিন্তু আর দশটা মানুষের মতই আমি জানি, মানুষ বাঁচে না। তখন আমার ইচ্ছা করে, নিজেরে বৃষ্টির মত, সমুদ্রের ঢেউয়ের মত একখানে

এলোকথন (জ্যেষ্ঠা ২৬:২)

ছবি
“Breathe, breathe in the air Don’t be afraid to care Leave, but don’t leave me Look around, choose your own ground. Home, home again I like to be here when I can.”  কে যেন কবে বলেছিল, আর কবে যেন কোথায় পড়েছিলাম—ঘর হচ্ছে এমন একটা জায়গা—তুমি যখনই সেখানে যাবে—তারা তোমাকে গ্রহণ করে নিবে।  কিন্তু, আমি ভাবি—এই গ্রহণটা কি কেবল একপাক্ষিক? একটা জায়গা তোমাকে গ্রহণ করলো, কিন্তু তুমি তাকে নিতে পারলে না। তাহলে কি সেই জায়গাটাকে ঘর বলা যাবে?  আমার তো মনে হয় না।  আমার কাছে ঘর হচ্ছে এমন একটা জায়গা—যেখানে দিনের যেকোনো সময় তুমি নিশ্বাস নিতে পারবে।  যদি মুহূর্তের জন্যেও দম আটকে আসে—তখনই আমার মনে সন্দেহ দানা বাঁধবে। ওটা কি ঘর?  আর যদি প্রতিনিয়ত দম আটকায়—তখন আমি নিঃসন্দেহ হব। ওটা ঘর না।  আমার কাছে ঘর আর আশ্রয়—এই দুটা প্রায় প্রতিশব্দ। প্রায়ই একটার পরিবর্তে আমি অন্যটা ব্যবহার করতে পারি।  একবার গভীর রাতে আমি শেরেবাংলা হলে ঢুকেছিলাম। প্রথম যেই রাতে আমি হলে থাকি। সে রাতে ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে কেবলই ভাবছিলাম, কোথায় যাই, কোথায় যাই। শেষে হলে গিয়েই ঢুকলাম। কনকের ঘরে একটা বিছানা খাল

এলোকথন (জ্যেষ্ঠা ২৬:১)

ছবি
“There is but one truly serious philosophical problem, and that is suicide. Judging whether life is or is not worth living amounts to answering the fundamental question of philosophy. All the rest—whether or not the world has three dimensions, whether the mind has nine or twelve categories—comes afterwards.” আলবেয়ার কামু তাঁর বিখ্যাত দাঁতভাঙা প্রবন্ধটা শুরু করেছেন এই কথাগুলো দিয়ে। সেই প্রবন্ধ আমি পুরো পড়িনি। কিন্তু, বেঁচে থাকাটা আদৌ অর্থবহ কিনা—এটা আমি প্রায়ই ভাবি। একেকটা সময় আসে—যখন এই একটা চিন্তা আমাকে চিরে ফালাফালা করে দিতে থাকে। আমি টুকরো টুকরো হয়ে ঘরময় ছড়িয়ে পড়ি। টেবিলের তলে, বিছানার ওপরে, বুকশেলফের কোণায়, আমার ঘরের ফ্যানের ঢেউয়ে আমার টুকরো ভাসতে থাকে। আমি মুখ্যু মানুষ। নির্বাণ পেতে এখনো অনেক দেরি। মানুষ কেন বেঁচে থাকে, মরে যাওয়ার আগে তার কী কী করে যাওয়া উচিত—এর কিছুই আমি স্পষ্ট করে বলতে পারবো না। তবে হ্যাঁ, আমি জানি—আমি কীসের আশায় বেঁচে থাকি। আমি যখন ছোট—তখন একজন লিখেছিল—নোবেল ছেলেটা ভালোবাসার কাঙাল। একটু ভালোবাসা পাইলে সে নিজেরে বিক্রি করে দেয়। সেই বয়সে