পোস্টগুলি

মে, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আবু তালেবের উপাখ্যান

ছবি
আমরা পেছন ফিরে তাকাবো, এবং কে জানে, হয়তো ২৩ এপ্রিল, ১৬৮২-তেই আমাদের দৃষ্টি পড়বে।  আমরা দেখবো, বুড়িগঙ্গার পাড়ে বড়সড় কোনো অশ্বত্থ গাছের নিচে কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। আমরা ধরে নিবো, তার নাম লাল মিয়া।  এপ্রিলের ঐ দিনটাতে হয়তো খুব একটা গরম থাকবে না। কারণ বিক্রমপুরের উপকণ্ঠে ঢাকা নামের এলাকাটাকে হয়তো আমরা জঙ্গলাকীর্ণই দেখবো, সে হয়তো অজস্র আমের মুকুলের ঘ্রাণে আর বুড়িগঙ্গার বয়ে আনা শীতল বাতাসে লাল মিয়ার পরানডা জুড়ায়ে দিবে।  তবু আমরা লাল মিয়াকে ঘামতে দেখবো। অকারণেই বারবার ধুতির খুঁট তুলে মুখ মুছতে দেখবো।  কাজেই আমরা অনুমান করবো, লাল মিয়া বড্ড চিন্তা করে। হ্যায় কী জানি ভাইবা ভাইবা চোখমুখ ঘামায়া ফালায়।  এবং আমরা ১৬৮২ সালের কোনো এক দিনে, হয়তো ১৫ মেই হবে সেটা, সেই দিনটার দিকে যখন দৃষ্টিপাত করবো, তখন বুড়িগঙ্গার তীরের অশ্বত্থ গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা লাল মিয়ার দিকে আমাদের দৃষ্টি পড়বে, এবং আমরা অকারণেই তাকে ঘামতে দেখবো। আমরা কৌতূহলী হয়ে তার দিকে একটু এগিয়ে যাবো। আমরা বিড়বিড় করে তাকে বলতে শুনবো,  আবু তালেবের বাড়িত যামু  শাগ-ডাইল আর বিনুন খামু।  সুতরাং আমরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়বো

শায়েস্তা খাঁয়ের দুর্গ এবং আমাদের বোধ

ছবি
এক.  শায়েস্তা খাঁয়ের নামের সাথে যে কথাটা রীতিমত চুইংগামের মত লেগে আছে সেটা হল, তাঁর আমলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেতো। ব্যাপারটা খুবই কৌতুককর—বেচারা শায়েস্তা খাঁ ঢাকার জন্য এত কিছু করে গেলেন—সব বাদ দিয়ে আমরা মনে রাখলাম কেবল চালের দরের জন্য!  গতকাল লালবাগ দুর্গে ঢুকে এ কথাটা বারবার মনে পড়ছিলো। ঢাকার প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনও কোনোমতে টিকে আছে—তার একটা এই দুর্গ। এবং এর সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে যার নাম তিনি হলেন মির্জা আবু তালিব ওরফে রুকুন-উস-সুলতান আমির-উল-উমেরা নওয়াব শায়েস্তা খাঁ বাহাদুর।  দুই.  শায়েস্তা খাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো শাস্তি হিসেবে। তখন সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসন চলছে। শায়েস্তার কোনো এক কাজে ক্রুদ্ধ হয়ে সম্রাট তাঁকে ঢাকায় বদলি করে দেন। ব্যাপাটা মোটামুটি অনুমান করা যায়, ১৬৬৪ সালে ঢাকার তেমন কোনো আহামরি অবস্থা ছিলো না, রাজধানীর মর্যাদা পাওয়ার পরেও। ঢাকা ছিলোই বা কতটুকু—বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে ছোট্ট একটু জায়গা নিয়ে কিছু মানুষ থাকতো। সরকারি কর্মকর্তাকে পাড়াগাঁয়ে বদলি করে দিলে যেমন হয়—শায়েস্তাও নিশ্চয়ই অমন একটা অনুভূতি নিয়েই ঢাকায় এসেছিলেন। কিন্তু এসে মুখ