পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বুড়ো

ছবি
ওদের দুজনের সাথে কবে পরিচয় হয় আমার মনে নেই। ভাইয়া আমার চেয়ে বয়সে পাঁচ মাসের বড়, জ্ঞান হওয়ার পর আবিষ্কার করেছি, আমি তাকে ভাইয়া বলে ডাকি। আর অলিন্দ আড়াই বছরের ছোট, জ্ঞান হওয়ার পর আবিষ্কার করলাম, আমি তাকে অলিন্দ বলে ডাকি (খুব একটা আশ্চর্যের ব্যাপার না এটা অবশ্য, স্বীকার করছি)। আমি যখন অনেক ছোট, আমরা একসাথে থাকতাম। ওদের আব্বু আবার সম্পর্কে আমার চাচা হয়। আপন চাচা। আমার আব্বু বড় ভাই, এরপর একজন সেকেন্ড হয়েছিল, আর ওদের আব্বু থার্ড হয়েছে। থার্ড হওয়ার কারণেই কিনা কে জানে, দাদু তার নাম রেখেছিল বাবু। তো, ধানমণ্ডির একটা দোতলা বাসায় বাবুচাচারা আর আমরা থাকতাম। সাথে থাকতো ভাড়াটিয়া, আর ভাড়াটিয়াদের বিশাল এক কুকুর। আমার জীবনটা শুরু হয়েছিল এভাবেই, ভাইয়া, অলিন্দ, আমাদের দুই পরিবার, বৃদ্ধা ভাড়াটিয়া, আর একটা কুকুর নিয়ে। তারপর, মনে হয় আমার বয়স তখন তিন বছর, আমরা বাসা পাল্টালাম। মোহাম্মাদপুরের এদিকে খুব শান্ত একটা জায়গা আছে। এখানে আমরা বাসা নিলাম, আর আমাদের দুই-এক বাসা পরেই বাসা নিল চাচারা। এরপর আমরা আরেকটু বড় হলাম, আমাদের আরেকটু জ্ঞান হল, আর আমরা তিন ভাই দিনরাত একসাথে হাউকাউ শুরু করলাম! সমবয়সী তিন ভাই

যারা বেঁচে আছে, যারা বেঁচে নেই

একগাদা কাজ ফেলে রেখে লিখতে বসলাম। এই ঘরে বসে লিখতে বড় ভালো লাগে। আমার ঘরটা বেশ ছোট, কিন্তু অনেক বছর ধরে অল্প অল্প করে গোছানো। দেয়াল থেকে ঘড়ি, ক্যালেন্ডার সবকিছু সরিয়ে দেয়াল সাদা করে ফেলেছি, বেশ ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আপুর ঘরের বুকশেলফ থেকে ভালো ভালো বইগুলো এনে আমার বুকশেলফে রেখেছি, ছাদের সাথে লাগানো বুকশেলফজুড়ে শুধু বই আর বই, সেটাও দেখতে ভালো লাগে। স্ক্রু-ট্রু দিয়ে চেয়ারের হাতল খুলে ফেলেছি, চেয়ারে পা তুলে আরাম করে বসা যায়। আর আমার পড়ার টেবিলটা জানালার সাথে লাগানো, জানালার ওপাশে মোটামুটি বড় একটা ফাঁকা রাস্তা। তারও পরে একটা বিল্ডিং। আমার জানালা দিয়ে অনেকখানি আকাশ দেখা যায়। বৃষ্টি পড়লে বেশ ঠাণ্ডা বাতাসও আসে। আর দূরের বাসাটার কবুতরের মত খুপড়িগুলো দিয়ে দেখা যায়, ঢাকাশহরের দিবারাত্রির কাব্য। ও বাড়ির হাসিকান্না এ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছায়। রাতে যখন সবকিছু চুপ হয়ে যায়, মেয়েটা মৃদু হাসলেও আমি শুনি, বুড়ো লোকটা হালকা কাশলেও আমি শুনি। আমার মাঝেমধ্যে বড় ভালো লাগে। এমন সময়, ওয়ারফেজের একটা পুরনো গান শুনতে শুনতে আমার মধ্যে নস্টালজিয়া ভর করল। কিংবা হিমশীতল বাতাসটাকেও এর দায় দেয়া যায়। আমার দাদু এখন