পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এলোকথন (চিত্রা ২৪:২)

ছবি
আমি আজকাল লিখতে পারি না।  এতে আশ্চর্য হবার তেমন কিছু নেই। সত্যিকারের লেখক লিখবে, ভণ্ডরা লিখবে না—এটাই স্বাভাবিক। পুরো স্বাভাবিকতার মাঝে একমাত্র সমস্যা হল, আমার লিখতে না পারলে খারাপ লাগে। আর কিছু না হোক, পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরে আমার ডায়েরি লিখতে হয়। এলোকথন শিরোনামে এলোমেলো কথাবার্তা লিখতে হয়। কখনো হালকা গল্প, কখনো ভারী গল্প বানাতে হয়। তবেই আমি শান্ত থাকি। রাত্রিবেলা ঘুমোতে পারি, সারাদিন শরীরটা ঝরঝরে থাকে।  ক’মাস হল, এর কোনোটাই ঠিকমত হচ্ছে না। খ্যাপার মত দিনরাত বই পড়ছি, শহরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি, আড্ডা দিচ্ছি—কিছুই কাজ করছে না। ঘুরছি শহরের বাইরেও। কেবল গত তিন মাসে যত ঘুরেছি—সারা জীবন অতখানি ঘুরেছি কিনা সন্দেহ আছে। কখনো মন ভালো করছি, হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিচ্ছি, আবার তীব্র বিষাদে আক্রান্ত হয়ে চুপ করেও বসে থাকছি।  কাজ হচ্ছে না কিছুতেই।  অর্থাৎ আমি লিখতে পারছি না। অথচ এ ব্যাপারটা এখন সবচেয়ে বেশি ঘটার কথা। এই গত বছরেও, প্রতিটা নতুন বোধের সাথে কিছু না কিছু লিখে ফেলতাম—বাচ্চাদের মত করে হলেও। সে হিসেবে গত তিন মাসে যতখানি ঘাত-অভিঘাত পার করেছি—ওতে তো লিখে কূল পাবার কথা না!  আচ

এলোকথন (চিত্রা ২৪:১)

ছবি
চৈত্রের প্রাকমুহূর্তটা সময়ে সময়ে খুব নির্মম হয়ে দাঁড়ায়। হয়তো আমরা শহরের চেনা পথটা ধরে হাঁটি, হয়তো প্রেসক্লাবের সামনের একটা বাসে ঝুলতে থাকি, কিংবা ব্যস্ততম রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করি, এবং ঠিক তখনই চৈত্রের বাতাস এসে একটা ঝাপ্টা দিয়ে যায়।  কখনো মুহূর্তের জন্য, কখনো দীর্ঘক্ষণের জন্য।  এতে কিছু এসে যায় না, কারণ বাতাসের প্রথম স্পর্শেই আমরা আনমনা হয়ে যাই। পুরো পৃথিবীটা জলরঙে আঁকা একটা ছবির মত মনে হয়। আফ্রেমভের উজ্জ্বল রঙ না, তোহফার দুঃখ-মেশানো হালকা রঙ।  হাতে থাকা বইটাতে চোখ বোলানোর চেষ্টা করি। শব্দগুলো আমাদের চোখ পর্যন্ত আসে, মর্মে পৌঁছে না। হেডফোনজুড়ে হ্যারিসন অলৌকিক কিছু কথা আওড়াতে থাকে। শব্দগুলো আমাদের কান পর্যন্ত আসে, মর্মে পৌঁছে না।  অর্থাৎ আমরা একটু আনমনা হয়ে যাই।  এবং এইসব মুহূর্তে আমার অনিকের কথা মনে পড়ে। কলেজ-পরবর্তী জীবনে তার প্রতি আমার নির্বিকারত্বের কথা আমার মনে পড়ে।  এবং অমন নির্বিকারত্ব সন্দেহাতীতভাবে ছিল একটা পাপ। এই পাপের প্রতিফল কীভাবে আসবে—সে কথাও আমার ভাবতে ইচ্ছে করে।  যদিও ভয় লাগে। ইচ্ছে করে, ছুটে যাই।  জানি, যাবার জায়গা