অন্য কোথাও, অন্য কোনোখানে

জলরঙ: তোহফা

হুম, এখন আর ব্লগে লিখি না।

ব্লগে লিখ-তে-ই হবে—এমন কোনো কথা আছে?

একসময় ভাবতাম আছে।

এখন জানি, নাই।

কেউ কেউ থাকে, কোনো দিন থাকে, যে, যখন, একটা সোনালু গাছের নিচে দাঁড়িয়ে যখন দুই হাত তুলে বলে, আয় ফুল আয়—তখন বৃষ্টির মত ফুলেরা নেমে আসে, নাচতে নাচতে, উড়তে উড়তে। সেই ফুল আমরা যেমন স্পর্শ করি, সুন্দর।

তবে কিনা, সত্য কেবল ঐ সোনালুর নিচে না। মহড়ার মাঝে যেই মানুষটা চিলেকোঠার কোণায় ক্লান্ত, সে অপূর্ব। পাথুরে মুখে স্বপন মামার কেটলিতে টোকা দেয়া, আর কাপের পর কাপ চা জন্ম নিলো, বর্ণনাতীত। দৃকের ঝলমলে আলো আর আদাবর বারোর সহজ কুকুরটা বড্ড প্রিয়। এইসব রস চেটেপুটে খাচ্ছি, বড় ব্যস্ততায় দিন যায় আজকাল।

তাই, ভাবলাম, ব্লগের পুরনো চেহারাটা ফিরিয়ে দিয়ে যাই। সতেরো সালে যখন তুমুল লেখালেখি হত—সেই সময়ের দৃশ্যমান অনুভূতিটাই স্থির হয়ে থাকুক।
জলরঙ: তোহফা