শায়েস্তা খাঁয়ের দুর্গ এবং আমাদের বোধ

এক. 

শায়েস্তা খাঁয়ের নামের সাথে যে কথাটা রীতিমত চুইংগামের মত লেগে আছে সেটা হল, তাঁর আমলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেতো। ব্যাপারটা খুবই কৌতুককর—বেচারা শায়েস্তা খাঁ ঢাকার জন্য এত কিছু করে গেলেন—সব বাদ দিয়ে আমরা মনে রাখলাম কেবল চালের দরের জন্য! 

গতকাল লালবাগ দুর্গে ঢুকে এ কথাটা বারবার মনে পড়ছিলো। ঢাকার প্রাচীনতম নিদর্শনগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনও কোনোমতে টিকে আছে—তার একটা এই দুর্গ। এবং এর সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে যার নাম তিনি হলেন মির্জা আবু তালিব ওরফে রুকুন-উস-সুলতান আমির-উল-উমেরা নওয়াব শায়েস্তা খাঁ বাহাদুর। 

দুই. 

শায়েস্তা খাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো শাস্তি হিসেবে। তখন সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসন চলছে। শায়েস্তার কোনো এক কাজে ক্রুদ্ধ হয়ে সম্রাট তাঁকে ঢাকায় বদলি করে দেন। ব্যাপাটা মোটামুটি অনুমান করা যায়, ১৬৬৪ সালে ঢাকার তেমন কোনো আহামরি অবস্থা ছিলো না, রাজধানীর মর্যাদা পাওয়ার পরেও। ঢাকা ছিলোই বা কতটুকু—বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে ছোট্ট একটু জায়গা নিয়ে কিছু মানুষ থাকতো। সরকারি কর্মকর্তাকে পাড়াগাঁয়ে বদলি করে দিলে যেমন হয়—শায়েস্তাও নিশ্চয়ই অমন একটা অনুভূতি নিয়েই ঢাকায় এসেছিলেন। কিন্তু এসে মুখখানি প্যাঁচার মত করে বসে থাকেননি—কাজকর্ম করেছিলেন বিস্তর। তাঁর আমলে এক টাকা দিলে— 

আচ্ছা থাক। শায়েস্তা খাঁ বাংলা শাসন করেছিলেন ১৬৮৮ সাল পর্যন্ত, তবে একটানা না। মাঝখানে বেশ কিছুদিন সম্রাট আওরঙ্গজেবের আদরের পুত্র ছিলেন বাংলার দায়িত্বে। তিনিই শখ করে লালবাগ দুর্গের কাজ শুরু করেন। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে বাংলা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়, এবং শায়েস্তা খাঁকে আবার আগের দায়িত্বে বহাল করা হয়। 

দায়িত্ব নিয়ে শায়েস্তা অনুরুদ্ধ হয়েছিলেন দুর্গের কাজ শেষ করতে। সেই সাথে পুরো দুর্গটাই তাঁকে দিয়ে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এ সময় তাঁর মেয়ে মারা যায়, এবং এ ঘটনার পর শায়েস্তা দুর্গের ব্যাপারে আর উৎসাহ পাননি—ঐতিহাসিকেরা এমনটাই বলে থাকেন। কাজেই আজ পর্যন্ত লালবাগ দুর্গটা অসমাপ্ত হিসেবেই পড়ে আছে। 

তবু, কাজ যতখানি এগিয়েছিলো তা দেখলে মোটামুটি আশ্চর্য হতে হয়। দুর্গের দক্ষিণে যে সুড়ঙ্গ আছে—সেটার একমাথা মাটির নিচ দিয়ে বুড়িগঙ্গার ধারে গিয়ে শেষ হয়েছিলো। তখন বুড়িগঙ্গা দুর্গের প্রায় ধার ঘেঁষে বয়ে যেতো—সুতরাং এখানে আশ্চর্য হবার তেমন কিছু নেই। আশ্চর্যের ব্যাপার হল—যেটা তৈফুর লিখেছেন। সুড়ঙ্গের অন্য মাথা নাকি শেষ হয়েছে টঙ্গীতে, তুরাগ নদীর তীরে! ব্রিটিশ আমলে এ ব্যাপারটা পরীক্ষা করে দেখার চেষ্টা করা হয়েছিলো—আসলেই সুড়ঙ্গ এতখানি লম্বা কিনা। যারা সেখান দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করেছে—তারা কিছুদূর গিয়েই অজ্ঞান হয়ে গেছে ভেতরে জমে থাকা গ্যাসের কারণে।

বর্তমানে সেই সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কেবল সামনে বিদ্‌ঘুটে নীল একটা সাইনবোর্ডে লেখা, ‘গোপন সুড়ঙ্গের মুখ’। যেন প্রকাশ হয়ে গেলে বিরাট লজ্জার ব্যাপার হবে। 

নাকি বন্ধ রাখা হয়েছে এজন্য যে, এই শহরে খ্যাপা ছেলেমেয়ের অভাব নেই—যারা সুড়ঙ্গে ঢুকে সোজা টঙ্গী বরাবর হাঁটতে শুরু করবে, এবং মাঝপথে…। 

ব্যাপারটা খুবই সম্ভব ছিলো। সে সুযোগটাও দেয়া উচিত না, লালবাগ দুর্গ নিয়ে ইতোমধ্যেই যথেষ্ট ভুতুড়ে কাহিনী প্রচলিত আছে। সিপাহী বিদ্রোহের সময় এই বিদ্রোহীদের হত্যা করে দুর্গের পুকুরটাতে ফেলে দেয়া হয়েছিলো। সে সময়ে লালবাগ দুর্গের আশেপাশে মনে হয় না খুব একটা মানুষ থাকতো, দুর্গের দেয়াল ভেঙে গাছপালা জন্মে জায়গাটা মোটামুটি জঙ্গলাকীর্ণ হয়ে গিয়েছিলো। মৃত সৈনিকদের আত্মা নাকি সেখানে ঘুরে বেড়াতো। মারা যাবার আগে তারা ‘ভাই পানি, ভাই পানি’ করে যে আর্তনাদ করেছিলো—সেই ডাক নাকি দুর্গের আশেপাশে মানুষজন শুনতে পেতো। এজন্য এলাকার লোকজন সচরাচর দুর্গের পথ মাড়াতো না। 

এসব গপ্পো—বলাই বাহুল্য। সেই সৈনিকেরা এখন নেই, লালবাগ দুর্গের চারপাশে আলো ঝলমলে রাস্তা, রেস্তোরাঁ, মানুষজনের কোলাহল। থাকার মধ্যে কেবল দুর্গের ভেতরে পানিশূন্য পুকুরটা রয়ে গেছে। 

যাকগে। শায়েস্তা খাঁ লালবাগ দুর্গের কাজ শেষ না করলেও, বসবাস করতেন সেখানেই। মেয়ে মারা যাবার পর তাকে সেখানেই কবর দিয়েছিলেন, এবং সেই কবরের ওপর নির্মাণ করেছিলেন চমৎকার এক সমাধি—যেটা এখন পরী বিবির সমাধি নামে পরিচিত। স্থাপত্যগত দিক থেকে সমাধির পরিকল্পনাটা অসম্ভব সুন্দর—শায়েস্তা যেখানে থাকতেন—সেই ভবনের জানালা বরাবর ঠিক সোজাসুজি তাকালে সমাধিটা দেখা যায়। মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, এই সমাধি তৈরি করতে শায়েস্তা খাঁ রাজমহল থেকে ব্যাসাল্ট, চুনার থেকে বেলেপাথর, জয়পুর থেকে সাদা মার্বেল এনেছিলেন। বাংলাদেশে এরকম নাকি আর একটি নিদর্শনও নেই। 

দুর্গের অক্ষত নিদর্শনগুলোর মধ্যে আরেকটা হল এর ফটক। ফটকই বা বলি কী করে—ওগুলো রীতিমত তিনতলা উঁচু একেকটা স্থাপত্যকর্ম। বিশ শতকের শুরুর দিকে সরকার একটা ফটক নিলামে তুলেছিলেন। মঙ্গু ওস্তাগার নামে এক ব্যক্তি পাঁচ টাকায় ফটকের দুটি স্তম্ভ কেনেন, কিন্তু সারাদিন মিস্ত্রি নিয়ে ঠুকুস-ঠাকুস করেও নাকি একটি ইঁটও খসাতে পারেননি। বেচারাকে শেষপর্যন্ত হাসিঠাট্টার পাত্র হতে হয়েছিলো। 

শায়েস্তা খাঁ যখন চালের দর অনেকখানি নামিয়ে এনেছিলেন, তখন লালবাগ দুর্গের কোনো এক ফটকে লিখে রেখেছিলেন, আবার কারও আমলে টাকায় আট মণ চাল বিক্রি হলে কেবল তখনই এই দরজা খোলা যাবে। পরবর্তীতে বাংলার কোনো এক সুবাদার সে কাজটা করতে সক্ষমও হয়েছিলেন, এবং তাঁর সময়ে সেই দরজা খুলেছিলো। (মুনতাসীর মামুন অবশ্য ধারণা করেছেন, এই ফটকটা দুর্গের না হয়ে ছোট কাটরার হতে পারে)। 

লালবাগ দুর্গের দক্ষিণ-পূর্বের ফটকটা এখনো মোটামুটি অক্ষত অবস্থায় আছে। 

তিন. 

কিন্তু সমস্যাটা হল, দুর্গের সেই অক্ষত ফটক, শায়েস্তা খাঁর বাসভবন, পরী বিবির সমাধি, জলাধার, ওয়াচটাওয়ার—কোনোটাই সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত না। ব্যাপারটা একটু হাস্যকর, তাহলে বাকি থাকলোটা কী? 

বাকি আছে দুর্গের ভেতরের মাঠ এবং রাস্তাগুলো—ফুলের বাগান করে যেটাকে মোটামুটি কৃত্রিম করে ফেলা হয়েছে। এবং খানিক পরপর বিদ্‌ঘুটে নীল রঙের সাইনবোর্ডে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, এবং সিটি কর্পোরেশনের ডাস্টবিনগুলো এদিক-ওদিকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। 

এখানে একটা ব্যাপার চলে আসে যে, সৌন্দর্যের ধারণা খুব আপেক্ষিক। আমার কাছে যত্রতত্র নীল রঙের সাইনবোর্ড খুবই অস্বস্তিকর লেগেছে—তার মানে এই না যে, ওটা সবার কাছেই লাগবে। 

কিন্তু তবু, সৌন্দর্যের কিছু ব্যাপার কি সার্বজনীন না? আকাশ তো সবার কাছেই সুন্দর, কাঠগোলাপের ঘ্রাণ সুন্দর, মোজার্টের সিম্ফোনি সুন্দর। নিতান্ত বোধশূন্য না হলে কেউ এসব কথা অস্বীকার করবে না। 

আমাদের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে সৌন্দর্যবোধসম্পন্ন মানুষদের আসাটা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। যারা সাহস করে বলতে পারবে, ফুল খুবই সুন্দর, কিন্তু আহসান মঞ্জিলকে ক্যাটকেটে গোলাপি রঙ করে তার সামনে হলুদ, বেগুনি এবং গাঢ় লাল ফুলের গাছ লাগানোটা অসুন্দর। 

সুরভী আন্টির থিসিসের বিষয় ছিলো ঢাকার প্রাচীন স্থাপত্যের অবস্থা এবং সেগুলোর সংরক্ষণ-প্রক্রিয়া নিয়ে। গতকাল আন্টির সাথে এ ব্যাপারে কথা বলছিলাম। আন্টি খুব নতুন একটা কথা বললো যেটা আমি জানতাম না—এসব পুরাকীর্তি সংরক্ষণ নিয়ে নাকি ইউনেস্কো দীর্ঘ দু হাজার পৃষ্ঠার নীতিমালা তৈরি করেছিলো। কীভাবে প্রাচীন কীর্তিগুলো রক্ষা করতে হবে থেকে শুরু করে সাইনবোর্ডের রঙ কী হবে—এসব সূক্ষ্ম নির্দেশনাও নাকি সেখানে দেয়া আছে। আমাদের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সবকিছু মেনে চলে না—সমস্যাটা এখানেই। 

অর্থগত সমস্যাও নিশ্চয়ই আমাদের আছে। কিন্তু দুর্গের যে ফটকের ভেতরে পুলিশ ফাঁড়ি (বা এমন কিছু একটা) করে সেখানে রীতিমত দাপ্তরিক কাজকর্ম করা হচ্ছে—সেটাকে মানুষের জন্য উন্মুক্ত না করার কোনো কারণই নেই। যতদূর জানি, একটা সময় পরী বিবির সমাধিও উন্মুক্ত ছিলো, এখন সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শায়েস্তা খাঁর বাসভবন সম্ভবত কখনই সাধারণ মানুষের জন্য খোলা ছিলো না। 

এসব কারণে যেটা হয়েছে, লালবাগ দুর্গ মোটামুটি লালবাগ পার্ক হয়ে গেছে। মানুষজন সেখানে জোড়ায় জোড়ায় যায়, পেতে দেয়া বেঞ্চে বসে ‘কী দুষ্টু এই দুষ্টু’ করতে থাকে, আর ফুলের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে।

যখন আমাদের সময় এসেছে আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধান করার, তখন আমরা লালবাগ দুর্গকে পার্ক বানিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে যাচ্ছি—ব্যাপারটা যথেষ্টই দুঃখের না? 

চার. 

লোভ সামলাতে পারছি না, তাই অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটা গল্প বলে শেষ করতে ইচ্ছে করছে। 

মুনতাসীর মামুন যা লিখেছেন—সে অনুযায়ী মিটফোর্ডের আশেপাশে কোথাও শায়েস্তা খাঁর নির্মিত একটা মসজিদ থাকার কথা। কিছুদিন আগে আমি, আরিফ আর সুরভী আন্টি হাঁটছিলাম মিটফোর্ডের ভেতরে। হঠাৎ রাস্তার পাশে একটা সাইনবোর্ড চোখে পড়লো—লেখা, শায়েস্তা খাঁর মসজিদ ও কবরস্থান! দেখে আমাদের রীতিমত হার্ট এ্যাটাক করার মত অবস্থা—প্রথমত এ কারণে যে, সে রাস্তা দিয়ে আমি আর আরিফ অতীতেও একাধিকবার হেঁটেছি, কিন্তু মসজিদ খেয়াল করিনি। দ্বিতীয়ত, শায়েস্তা খাঁর মসজিদের কথা সব ঐতিহাসিকই একবাক্যে স্বীকার করেছেন, কিন্তু তাঁর কবর যে ঢাকায় আছে—এ কথা তো কেউ লেখেননি? 

পাশেই এক ফেরিওয়ালা বসে ছিলেন। আমাদের বিস্ময় দেখে তিনি আশ্বস্ত করলেন, ভেতরে আসলেই কবর আছে। সাইনবোর্ড বরাবর একটা অন্ধকার রাস্তা—ঝোপঝাড় ঠেলে কিছুদূর এগিয়ে দেখি, একপাশে একটা দরজা, আর অন্যপাশে শায়েস্তা খাঁর মসজিদ। দরজাটা ঠেলেঠুলে দেখলাম বন্ধ, কাজেই আমরা আগের জায়গায় ফিরে এলাম। ফেরিওয়ালাকে আবার ধরলাম, কেবল একটা বন্ধ দরজা আছে, কবর কই? 

উত্তরে তিনি জানালেন, দরজার ওপাশেই শায়েস্তা খাঁর কবর আছে, নক করলে ভেতর থেকে খুলে দিবে। 

এ কথা শুনে আমরা তিনজনই চোখ উল্টে বুড়িগঙ্গায় পড়ে গিয়েছিলাম—কাজেই সেদিন আর কবর দেখা হয়নি। গতকাল খুব ইচ্ছে হচ্ছিলো কবরটা খুঁজে বের করতে। মিটফোর্ডে গিয়ে সেই দরজায় খানিকক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করে আবিষ্কার করলাম, দরজাটা খোলাই আছে। ভেতরে উঁকি মেরে দেখি, গ্রামের মত একতলা একটা বাসা, উঠোনের ঠিক মাঝখানে পাশাপাশি দুটো কবর। ওদিকে একজন ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়ে ছিলেন, কাজেই মনে হল দুম করে ঢুকে পড়াটা অভদ্রতা হবে। দরজায় দাঁড়িয়ে শায়েস্তা খাঁর নামে অনেক কিছু বলার পর ভেতর থেকে একজন দাড়িওয়ালা লোক বের হয়ে আসলেন এবং বললেন, এটা একটা পারিবারিক গোরস্থান—শায়েস্তার কবর এখানে নেই। 

দাড়িওয়ালা ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করে যা জেনেছি, ঐ বাসাটায় মসজিদের ইমাম সাহেবরা থাকেন, আর কবরটা মসজিদ পরিচালনা কমিটির পরিবারের। 

সন্ধ্যায় পদ্মদের বাসায় বসে তৈফুর ঘেঁটে দেখলাম, ব্যাপারটা বিশ্বাসযোগ্য, কারণ ১৬৮৮ সালে বাংলা ছেড়ে যাওয়ার পর শায়েস্তা খাঁ আগ্রার গভর্নর হিসেবে কাজ করতেন, এবং সেখানেই ১৬৯৪ সালে মারা যান। কাজেই তাঁকে মিটফোর্ডে এনে কবর দেয়ার পেছনে তেমন কোনো যুক্তি নেই। আমার ধারণা, শায়েস্তা খাঁর মসজিদের পাশে একটা কবর ছিলো দেখে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হয়ে গেছে ওটা শায়েস্তা খাঁর কবর। এবং সবাই সরল মনে সেটা বিশ্বাস করেছে—যেমন বিশ্বাস করা হয় কার্জন হলে মূসা খাঁর কবরের কথা। 

সেখানে চকের গুঁড়া দিয়ে লেখা ছিলো, মূসা খাঁর কবর।

[পরবর্তীতে যোগ করা নোট: অবশ্য, কোনো কোনো সুত্র বলছে সেই কবরটা আসলেই মূসা খাঁর কবর। যদিও মসজিদটা শায়েস্তা খাঁর রীতিতে তৈরি বলে অনেকের ধারণা—সেক্ষেত্রে এই মসজিদ মূসা খাঁর অনেক বছর পরের সময়ের হওয়ার কথা।]