পোস্টগুলি

সমাজ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কাকচক্ষু বুড়িগঙ্গা

ছবি
আমার মাঝেমধ্যে সমুদ্রে ডুবে যেতে ইচ্ছে করে।  আমি বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাই। অন্ধকার ঘরে বসে, রৌদ্রোজ্জ্বল রাজপথে দাঁড়িয়ে, দুঃখতম দুঃখের ভেতরে আমি প্রবল বৃষ্টির শব্দ শুনতে পাই।  এবং আমার ইচ্ছে করে সমুদ্রে ডুবে যেতে। সমুদ্রের গভীর, সুস্বাদু অন্ধকারে এক ঘাস হয়ে জন্মাতে।  আমি রক্তের কথা শুনি। আমি রক্ত দেখি। একসময় আমি অন্ধ হয়ে যাই, পুরো পৃথিবীর গায়ে লেগে থাকা ছোপ ছোপ রক্ত আমাকে অন্ধ করে দেয়, আমি চিৎকার করে চোখ থেকে রক্ত মোছার চেষ্টা করি।  আমি গাড়লদের রাস্তার ড্রেনের পাশে বসে মাথার খুলিটা খুলে ফেলতে দেখি। ড্রেন থেকে আবর্জনা তুলে তুলে মাথায় ভরতে দেখি। আমি দেখি তাদের হা হা করে মানুষের দিকে তেড়ে যাইতে, মানুষের বাচ্চার দিকে তেড়ে যাইতে। আমি দেখি তাদের মানুষ চাবায়ে খায়ে ফেলতে, আমি শুনি তাদের—  না, এরপর আমি আর শুনতেও পারি না, কেননা আমার মনে হয় আমার সারা গায়ে কালি লেগে গেসে।  স্কুলব্যাগ ঘাড়ে একটা পিচ্চিকে দেখলে আমার অথৈয়ের কথা মনে পড়ে, কিংবা কে জানে, হয়তো ফারহার কথাই মনে হয়, কিংবা হতে পারে সেটা রাহাত, হয়তো সৌমিক। ফলে বছরের একেকটা সময় পত্রিকা খুলে আ...

আগুনের পরশমণি

ছবি
আমার ধারণা, পৃথিবীর প্রতিটা মহৎ কাজের জন্ম হয় গভীর দুঃখ থেকে। বছরদুয়েক আগে এই শহরটা ভুতুড়ে একটা সময় পার করছিল। রাজনীতির সবচেয়ে অন্ধকার অংশটুকু সেই সময় প্রথমবারের মত আমাকে সামনাসামনি দেখতে হয়েছে। মাত্রই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি তখন। ক্লাস শুরু হয়নি, কাজেই হাতে কাজকর্ম নেই। প্রচুর গান শুনতাম। আর দিনরাত ছবি আঁকতাম। প্রায় প্রতিদিনই মেসালদের সাথে আড্ডা দিতাম। আর প্রায় প্রতিদিনই এই শহরের মানুষেরা পুড়ে মরত। মানুষ বড় সস্তা ছিল তখন, চাইলেই একসাথে দু-দশজনকে পুড়িয়ে মারা যেত। আমার বয়সী একটা ছেলে একদিন তার বাবার ট্রাকে বসে ছিল। ঘুমাচ্ছিল। সেই বাসে আগুন দেয়া হল, ছেলেটার পঁচানব্বই ভাগ পুড়ে শেষ। সেই অবস্থায় সে দুদিন বাঁচলোও। কী কষ্ট! পোড়ার যে কষ্ট—সেটা যার কখনো হয়নি তার জন্য বোঝা কঠিন। (এই প্রসঙ্গে আরেকটা কথা বলে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছে। এই ব্যাপারটা কিছুটা লিখেছিলেন নোবেলজয়ী স্ভেতলানা আলেক্সিয়েভিচ, তাঁর ভয়েসেস ফ্রম চেরনোবিল বইটাতে। চেরনোবিল দুর্ঘটনার পর আশেপাশের অনেক লোক রেডিয়েশনে পুড়ে গিয়েছিল, মানুষগুলো কীভাবে হাসপাতালে ধীরে ধীরে মরে গেল—সেই ভয়ংকর কষ্টের বর্ণনা বইটাতে আছে। আমি যখন দিনাজপুরের স...