এলোকথন (অশ্বিনী ১)

মানুষজন এবার নির্ঘাৎ আমাকে মার দিবে। কয়েকদিন থেকে একই কথা শুনতে শুনতে সবার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু এটা সত্যি যে, আমার জানালা দিয়ে কখনই জোছনা ঢুকে না। আমি ঈর্ষা নিয়ে, প্রবল ঈর্ষা নিয়ে পঞ্চাশ হাত সামনে থাকা বাড়িটাকে দেখি, বাড়ির বাসিন্দাগুলোকে দেখি। নিতান্ত মেঘ যদি বিশ্বাসঘাতকতা না করে, তারা প্রতিটা চাঁদের আলো স্পর্শ করতে পারে। মাত্র দাঁড়াতে শেখা বাচ্চাটা জানালার গ্রিল ধরে জোছনা দেখে। নিজের সবকয়টা স্বপ্ন কবর দিয়ে করে আসা প্রৌঢ় লোকটা বারান্দায় এসে থমকে যায়। অষ্টাদশী মেয়েটা শীতের রাতে একটা চাদর জড়িয়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। ঐ বাড়ির ইঁদুরটা জোছনা দেখে, যেই তেলাপোকাটা দুদিন পরে স্যান্ডেলের নিচে চাপা পড়ে মরে যাবে, সেও জোছনা দেখে।

চাঁদের আলোয় অদ্ভুত সব বিভ্রম হয়। কফিকে অ্যাবসিন্থ মনে হয়, আর মেয়েটাকে প্লিয়েডেসদের একজন মনে হয়।

সাদাকালো বাড়িটার দিকে আমি তীব্র ঈর্ষা নিয়ে তাকিয়ে থাকি।