সন্ধ্যাপ্রদীপ
সেঁজুতি কোথায়, কে জানে। আমি জানি না। মেয়েটা কেমন আছে, সেটাই বা কে জানে! আমি জানি না। শেষ কবে বেচারার সাথে ঠিকমত কথা বলেছি মনে পড়ে না। তবে প্রথম যেদিন বলেছিলাম, বেশ মনে আছে সেই কথা। অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছিলাম বাচ্চাটার ওপর। মনে হচ্ছিল, এমন নেকু নেকু বাচ্চাদের সাথে কাজ করা বড় মুশকিল। পরে জেনেছি, এই বিরক্তিটা ছিল দ্বিপাক্ষিক। সেঁজুতিও ভেবেছিল, এইসব আঁতেল-টাইপ ভাইদের সাথে কাজ করবো কীভাবে! অনেক পরে, আমাদের যখন এই বিষয়টা নিয়ে কথা হয়, তদ্দিনে আমরা একটু করে বুড়ো হয়েছি, বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে ঋদ্ধও হয়েছি, এবং আমরা গেছি অলৌকিক কিছু প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে, ফলে দ্বিপাক্ষিক বিরক্তির কথা শুনে আমি হেসে ফেলি, এবং সেঁজুতি হাসে তার ত্রিগুণ, হেসে কুটিকুটি হওয়ার আগ পর্যন্ত সে থামতে চায় না! আমার মনে পড়ে না, যেই মেয়েটার ওপর আমি অত্যন্ত বিরক্ত ছিলাম, সে কীভাবে অত দ্রুত আমার ডান হাত হয়ে উঠেছিল। হিসেব কষে এসব বের করা যায় না, আমি বারবার বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু এই বিভ্রান্তির মাঝেও আমার বারবার মনে পড়ে সেইদিনের কথা, যে রাতে সেঁজুতি প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একটা ঘোরের জগতে চলে যা...