এলোকথন (উলট-পুরাণ)


প্রথমেই বলে নিতে হবে, এটা আকিবের গল্প না।

গত এক মাসে আকিব ছেলেটার সাথে দীর্ঘ বকবক করতে হয়েছে। ছেলেটা পারে বটে, দীর্ঘসময় কাজ করেও সে প্রাণখুলে হাসতে থাকে, হুড়মুড় করে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে না। কিন্তু খোলসের বাইরের এবং ভেতরের গল্প—দুটোই আমার কানে আসে, কাজেই এই ছেলেটার সাথে কাজ করে আমি এক ধরনের শান্তি পাই।

তবু, এই গল্পটা আকিবের না।

অথবা, হতেই পারতো এটা রিয়ার গল্প। বেচারার জন্মদিন আজ। আমি বললাম, আমি যাবো না, ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্নাকাটি করতে। সেটাও শুনবে না, আমি না গেলে নাকি গুলিই করে দিবে। আচ্ছা দিক, তবু বেচারার জন্মদিন তো। হতেই পারতো এটা রিয়ার গল্প।

তবু, এই গল্পটা রিয়ার না।

এ্যানির সাথে গত কিছুদিন যথেষ্ট ঠাণ্ডা ব্যবহার করেছি, কিন্তু এই গল্পটা এ্যানিরও না।

রিকশায় বসে দীর্ঘ আড্ডা দেয়ার পরেও এই গল্পটা ওমরের না, তামান্নার এক মাসের এক্সপেরিন্টের পরেও এই গল্পটা তামান্নার না।

অথবা, আরেকটু স্পষ্ট করে বললে, এই গল্পটা নির্দিষ্ট কারো না। এই যেমন, এই গল্পটা নির্দিষ্টভাবে রিয়ার না। তবু, আমি যদি শপাঁচেক শব্দ লিখি, সেখানে কি দু-একবার রিয়ার নাম আসবে না? আসবে তো। কিংবা ধরো, আমি যদি আনমনে ঘণ্টাখানেক টাইপ করে যাই, বারকয়েক কি আকিবের নাম লিখে ফেলবো না? হুম, নিশ্চয়ই লিখবো, আমার বিশ্বাস, আমি লিখবো।

এক.

পরীক্ষাটা শেষ হয়েছে বটে, হাত-পা ছড়িয়ে বসার সুযোগটা এখনো আসছে না। বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরটা আসি আসি করছিল। এইবেলা বোধহয় এসেই যাচ্ছে। ওতে আমার খুব একটা দুশ্চিন্তা হচ্ছে না। ভালো লাগছে কেন যেন। মনে হচ্ছে, এখন জ্বরের পড়ারই সময়।

আমার ধারণা, জ্বরের ঘোরে খুব শান্তিতে লেখা যায়।

আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম, বাতাসে শীতের ঘ্রাণ পাচ্ছে কিনা। আমি কিন্তু পাচ্ছি। খুব তীব্রভাবেই পাচ্ছি। অনেকদিন পর আজ ছাদে গিয়ে যখন নক্ষত্র দেখছিলাম, তখনও খুব ভালোমতই শীতের ঘ্রাণ পাচ্ছিলাম। কোনো এক কারণে দূরে কুয়াশাও দেখা যাচ্ছিল। অথচ গরমে এই শহরটা পুড়ে যাচ্ছে তখন। পুড়ছি আমি নিজেও। মাথার চুল থেকে যেন আগুন বের হবে—এমন গরম লাগছিল। গরমে ছটফট করতে করতেই তারাগুলো চেনার চেষ্টা করলাম। ছাই, দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে সব গোল্লায় গেছে। আগস্টের রাত দশটায় কালপুরুষ ওঠার কথা না, কিন্তু তার আগের তারাগুলো কী ছিল যেন? কিচ্ছু মনে নেই। হতাশ হয়ে ছাদে পায়চারী করতে করতে বোঝার চেষ্টা করলাম।

উঁহু, কেবল নক্ষত্রকে না। অনেক কিছুই বোঝার চেষ্টা করলাম। সর্বনাশ, বাতাসে শীতের ঘ্রাণ এত প্রবল কেন? এই গন্ধটা আমাকে বছরখানেক আগের দিনগুলোতে নিয়ে যাচ্ছে। গত শীতের রাতগুলোতে। যেন হঠাৎ একটা টেক্সট পেয়ে আমি ছাদে উঠে এসেছি। শীতে কাঁপতে কাঁপতে, গায়ে একটা চাদর জড়িয়ে। নাকমুখ চাদরে ঢেকে নক্ষত্রগুলো চেনার চেষ্টা করছি।

দূরো, যা বলছিলাম। বলছিলাম যে, আমি অনেককিছুই বোঝার চেষ্টা করলাম। এই শীতটা যেভাবে ফিরে আসলো, সেভাবে প্রতিটা গল্প ঘুরেফিরে আসে কেন? এই যেমন, আমি সব্বাইকে বলেছিলাম, নিঝুমের সাথে ঝগড়া করেছি, কথা বলবো না, কিন্তু ঠিক এই শীতের মতই, নিঝুমও হঠাৎ করেই এসে হাজির হয়। দীর্ঘদিন পর একটা আড্ডা দিতে দিতে ফার্স্ট ইয়ারের কথা বলে ফেলে।

ফার্স্ট ইয়ার! সেই সময়টা, যখন আমি আক্ষরিক অর্থেই কিছু বুঝতাম না। নিঝুম বলছিল, এবং আমারও একই মত, সময়টা খুব বেশি সুন্দর ছিল। কিছু না বুঝেই অনেককিছু করে ফেলতাম। পাবলিক লাইব্রেরির ভেতরে বসে বকবক করতাম, কিছু না বুঝেই। পাঠক সমাবেশে গিয়ে সালভাদর ডালি নিয়ে বিশাল তর্ক জুড়ে দিতাম, কিছু না বুঝেই। হঠাৎ একটা কাঠগোলাপ নিয়ে নিতাম কারো কাছ থেকে, একেবারে কিছুই না বুঝে। আর হুম, রিকশায় বসে অতীতেও আড্ডা দিয়েছি, এখনো দেই, হয়তো ভবিষ্যতেও দিবো, কিন্তু ফার্স্ট ইয়ারের সেই দেড় ঘণ্টার আড্ডা, কিছু না বুঝে দেয়া ছেলেমানুষী আড্ডা—সেটার সাথে সম্ভবত আর কিছুরই তুলনা হবে না।

আহ্‌, গত তিনদিনে কত ঘটনা ঘটেছে? কত লক্ষ ঘটনা ঘটেছে? কিবোর্ডের ওপর দিয়ে আঙুল উড়িয়ে নিলেও বোধহয় লিখে শেষ করতে পারবো না।

আহ্‌, নিবারণ! ভর করো নিবারণ চক্রবর্তী, ভর করো আমার ’পরে।

ঠিক রাত সাড়ে আটটায় অন্ধকার একটা গাড়িতে বসে কিছু কথা শুনলেই কি একটা ছেলের মাথায় সহস্র চিন্তা এসে ভর করে? একুশ বছর বয়সটা কি এমনই? একুশ বছরের দুটো মানুষ পাশাপাশি বসে খানিক্ষণ কথা বললেই চিন্তাগুলো, ধুলোর মত অসংখ্য ছোট ছোট চিন্তা মাথার ভেতর উড়ে বেড়াতে থাকে?

আমি জানি, এটা সত্যি না।

তবে এটাও জানি, এটা কেবল আমাদের জন্যই সত্যি। ‘আমাদের’ জন্য, আমরা যারা নিজেদের পাগল বলে ডাকি। কারণ দিনশেষে কোনো একটা জায়গায় সুরটা মিলে যায়।

এই যেমন, পরশু বিডিজেএসও ক্যাম্পের পরীক্ষার সময় আকিব ফিসফিস করে আমাকে বলল, ‘ভাই, এই গানটা শুনসেন? শোনেন জলদি, জাতে ওঠেন—’ বলেই হেডফোনসুদ্ধ ফোনটা আমার কানে ধরিয়ে দিলো। শুনি যে, সাহানার গলায় একটা রবীন্দ্র বাজছে। ‘আমি বহুবাসনায় প্রাণপণে চাই, বঞ্চিত করে বাঁচালে মোরে।’ গতপরশু থেকে কতবার করে এই গানটা শুনেছি, হিসেব নেই। এই যে লিখছি, এখনো লিখতে লিখতে গানটা শুনে যাচ্ছি।

আকিব যে রবীন্দ্র শোনে, আমি জানতাম না।

দুই.

এহ্‌হে, জ্বরটা বোধহয় এসেই যাবে মনে হচ্ছে। গায়ে কাঁপুনি ওঠার মত শীত নিশ্চয়ই পড়েনি?

আব্বু বিদেশ যাওয়ার কথা আজ। মানে, বের হয়েছে এর মধ্যে বাসা থেকে। একটু পরেই প্লেনটা সাঁ করে উড়ে যাওয়ার কথা।

নিঝুম জিজ্ঞেস করছিল, কোথায় যাচ্ছে। আমি বলতে পারিনি, কারণ আব্বু কোথায় যাচ্ছে আমি জানি না। ছোটবেলা থেকেই দেখছি, অফিসের কাজে আব্বু বাইরে যায়। ফেরার সময় একগাদা চকলেট নিয়ে আসে। ছোটবেলায় খুব উত্তেজিত থাকতাম, আব্বু অমুক দেশে কিংবা তমুক দেশে যাচ্ছে। আজকাল আর জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হয় না। যাচ্ছে, যাক।

যা মনে হচ্ছে, আসলে তা না। সমস্যাটা অন্য জায়গায়। আজকাল আব্বুর সাথে কথা বলতে গেলেই কেন যেন আটকে যাই। কোথায় একটা দ্বিধা এসে ভর করে। রাতে খবর দেখার সময় গম্ভীর মুখে একটু ডিসকাশন হয়। হয়তো রাজনীতি নিয়ে ছোটখাট রসাত্মক আলোচনাও হয়। কিন্তু পুরোটার মধ্যেই একটা ফরমাল ভাব আছে। আমি দু-একদিন আগেই ভাবছিলাম, আব্বুকে জিজ্ঞেস করবো কোথায় যাচ্ছো। জিজ্ঞেস করতে গিয়ে আবারও আটকে গেলাম। চুপ করে বসে থাকলাম।

তিন.

বেচারা রিয়াটার জন্মদিন। কিছু বলছি-টলছি না মেয়েটাকে। কী হবে বলে? ফোন দিয়ে বলবো, শুভ জন্মদিন?

যাহ, আমি ওসবের মধ্যে নেই। রিয়ার জন্মদিন না? ও তো বোধহয় ইদানিং ফেসবুকও চালায়। শত শত মানুষ নিশ্চয়ই এসে বলছে, হ্যাপি বার্থডে। ইন্‌স্টাগ্রামে কেউ কেউ কেকের ছবি পাঠাচ্ছে। বলছে, হ্যাপি বার্থডে। কাল নিশ্চয়ই শব্দের গ্যাদা গ্যাদা বাচ্চাগুলো বলবে, রিয়া হ্যাপি বার্থডে। (শব্দ হচ্ছে রিয়াদের আবৃত্তি সংগঠনের নাম। সাদাসিধে এই নামটা কেন যেন আমার ভালো লেগে গেছে।)

এখন সমস্যা হল, আমি মেয়েটাকে জন্মদিনে কিছু বলবো না। লিখবোও না। ছবি আঁকার সাহস তো গেছে সেই কবেই। কাজেই আমি নীরবমূর্তি ধরে বসে আছি। মেয়েটা বুড়ি হয়ে গেল তবে, হুম? আচ্ছা, বুড়ি হোক।

গত রাতে তটিনীকে খুব করে বকে দিলাম। ঠিক বকে দিলামও বলা যায় না, ঝগড়া করলাম বলাটাই বোধহয় সমীচীন হবে। সেজন্যই কিনা কে জানে, আজ সারাদিন মেয়েটা বহুবার চেষ্টা করলো আমাকে ময়মনসিংহ পার করার। রিয়া বলছে, আমি না গেলে আমাকে গুলি করবে, কিন্তু তটিনী যা বলছে তার সারাংশ হল, তোমাকে আসতেই হবে, নইলে আমরা এই চলে এলাম।

তাই কি হয়? ওদের কথা শুনে আমার আবারও আকিবের দেয়া গানটা মনে পড়ে যাচ্ছে। আমার ধারণা, আজ সারাদিন ধরে যে গানটা শুনছি, তার পেছনে ময়মনসিংহের পাগল দুটোর একটা বড় ভূমিকা আছে।

“আমি বহু বাসনায় প্রাণপণে চাই, বঞ্চিত করে বাঁচালে মোরে।
এ কৃপা কঠোর সঞ্চিত মোর জীবন ভ'রে॥
না চাহিতে মোরে যা করেছ দান— আকাশ আলোক তনু মন প্রাণ,
দিনে দিনে তুমি নিতেছ আমায় সে মহা দানেরই যোগ্য ক'রে
অতি-ইচ্ছার সঙ্কট হতে বাঁচায়ে মোরে॥”

কথাটা সুন্দর না? ‘অতি-ইচ্ছার সঙ্কট হতে বাঁচায়ে মোরে।’

চার.

এই ‘অতি-ইচ্ছার সঙ্কট’ থেকে বাঁচতেই আমাকে সব ছেড়েছুড়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে আসতে হয়েছে।

কিন্তু আজ সবকিছুই কেন যেন ঘুরেফিরে অতীতে চলে আসছে।

আচ্ছা যাক, সুরভী আন্টিদের কথা বলি।

ওদের বাসায় গিয়েছিলাম হুট করেই। অফিসে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করছিলাম। বিডিজেএসও-র খাতা দেখতে দেখতে মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিল, কাজেই নিঝুমের ক্লিপটা চুলে বেঁধে রেখেছিলাম। রাত আটটার দিকে হঠাৎ মনে পড়ল, পদ্মর জন্য একটা খেলনা ব্যাগে নিয়ে ঘুরছি। কাজেই সেই অবস্থাতেই হুট করে ওপরতলায় চলে গেলাম। বেল টিপতেই পদ্মর নানু দরজা খুলে চোখ বড় বড় করে বললেন, ‘চুলে ওটা কী লাগিয়েছো?’ (নাকি এটা আন্টি বললেন? মনে নেই।)

ইশ, কতদিন পর পদ্ম পিচ্চিটাকে দেখলাম? অনেক অনেকদিন দেখি না। প্রায় মাসখানেক পর পিচ্চিটার গাল ধরে টানাটানি করলাম। আজ যে পরিমাণ গাল টেনেছি, আরেকটু লম্বা হয়ে গেছে নির্ঘাত।

আচ্ছা, ওদের কি আজ একটু মন খারাপ ছিল? আমি জানি না, কিন্তু কিছুক্ষেত্রে আমি ধরতে পারি, কারো মন খারাপ কিনা। পদ্মর নানু আজ কেন যেন একটু মলিনভাবে হাসছিলেন। চুপ ছিলেন মামুন ভাইও।

নানাভাই কেমন আছে কে জানে। ওনার গল্প নানুও বলে না, কাজেই আমিও আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করি না।

পাঁচ.

ইট্‌স অল কামিং ব্যাক টু মি।

মাঝেমধ্যে মনে হয়, ঘটনাগুলো যেন পূর্বপরিকল্পিত। আকিবের হেডফোনে শোনা আরেকটা গান, ওমরের সাথে আরেকবার রাতের ঢাকায় হাঁটা, নিঝুমের সাথে আরেকবার বাসায় ফেরা, অথৈয়ের আরেকটা ফোন—প্রতিটা ঘটনা যেন খুব সুন্দর করে একের পর এক সাজানো।

আবির যতই দীর্ঘশ্বাস ফেলুক, ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ার হয়তো এই জীবনে ফিরে আসবে না। কিন্তু এরপরেও কিছু একটা ফিরে আসছে, যেকারণে এই আগস্টের গরমের মাঝে বসেও আমার বারবার পনেরোর সেপ্টেম্বরটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

সেই সেপ্টেম্বর! ফার্স্ট ইয়ারের ছেলেমানুষী একটা সেপ্টেম্বর, অসংখ্য ভুল করার পরেও প্রিয় একটা সেপ্টেম্বর। আমার বারবার করে পনেরো সালের সেপ্টেম্বরটার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

হুম, খুব দ্রুত কিছু কাজ করে ফেলতে হবে আমাকে। এ্যানির সাথে একদিন বসতে হবে, খুব দ্রুত। জীবনে অন্তত একটা ভালো ছবি আঁকার কথা—সেটাতেও দ্রুতই হাত দিতে হবে। ওদিকে একজন হাঁটা ছেড়ে হঠাৎ করেই দৌঁড়োনো শুরু করেছে—ওখানেও একটা চোখ রাখতে হবে।

ইট্‌স নাও অর নেভার। যেহেতু অনেককিছুই ফিরে আসতে শুরু করেছে, এখন কয়েকটা কাজ শেষ করে না ফেলাটা নিতান্তই বোকামো হবে।

ছয়.

শুরু করেছিলাম আকিব দিয়ে, শেষটাও আকিবকে দিয়েই করা যাক।

ক্যাম্প চলার সময় আকিব আরেকটা গান শুনতে দিয়েছিল। আগের মতই, আমার কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে বলল, ‘কথাগুলা সেইই না ভাই?’

আমি কিছুক্ষণ চুপ করে শুনলাম। সুন্দর বটে।

“If you miss the train I'm on
You will know that I am gone
You can hear the whistle blow a hundred miles”

এটা একটা ফোক গান, অনেকেই গেয়েছে। আমি আর আকিব যেটা শুনছিলাম, সেটা এই লিংকে আছে।

সাত.

নাহ, আকিবকে দিয়ে শেষ করা গেল না। ছেলেটার কথা লিখতে লিখতেই দেখি, রিয়া ফোন দিচ্ছে। ওর জন্মদিনে আমি ফোন দেয়ার অর্থ, ভালো ভালো কথা বলতে চাচ্ছি। আর ও নিজেই ফোন দেয়ার অর্থ, আমি এখন বিশাল একটা বকা খাবো।

আমি বকা খুব ভয় পাই, কাজেই নিরীহ মুখ করে ফোনটা সরিয়ে রাখলাম।